ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) তাদের তিন যুগ পূর্তি উপলক্ষে কর্মী সমাবেশ ও মুরাল উদ্বোধনের আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বিএনপি’র মহাসচিব ও ইএসডিও’র নির্বাহী পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে ইএসডিও’র প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামানের অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, “ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান ছাত্রজীবন শেষে সমাজসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেন। তার সঙ্গে একসময় কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। গতকাল ইএসডিও শুধু ঠাকুরগাঁও নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ইএসডিও’র কর্মীরা আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান এবং তার কর্মীদের যে আন্তরিকতা যে চেষ্টা সেই চেষ্টার মাধ্যমে তারা ইএসডিওকে আরো উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। দেশের বর্তমান যে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট সে প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি আমাদের এই মাইক্রোক্রেডিটের যে ভূমিকা সেই ভূমিকাটা একটা অপরিসীম অবদান প্রথম থেকেই শুরু করেছে। এবং সেজন্যই আমি ড. ইউনুস কেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি যখন এটি শুরু করেন তখন অনেকেই এটি ঠিকমতো উপলব্ধি করতে পারেননি। এখন আস্তে আস্তে এটা প্রমাণ হচ্ছে যে এই মাইক্রোক্রেডিটের যে মুভমেন্ট এই মুভমেন্ট থেকেই বাংলাদেশের রুলার ইকোনমিতে যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে যে পুঁজি আসতে শুরু করেছে সেই পুঁজির ফলে আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছাচ্ছে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর চেয়ারম্যান এবং সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: সাইদুর রহমান, সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ দেওয়ান এএইচ আলমগীর, এনজিও বিষয়ক বু্রোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা, সিভিল সার্জন ড. নূর নেওয়াজ আহমেদ , ইএসডিও’র নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম , পরিচালক প্রশাসন ও ইকো পাঠশালা এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. সেলিমা আখতার এবং বিভিন্ন দাতা সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টরবৃন্দ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মির্জা ফখরুল বলেন, “একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে আসা আমার রাজনীতি। আমি রাজনীতির একজন মাঠকর্মী। সে ক্ষেত্রে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আমি এটা উপলব্ধি করি যে আমাদের এই এনজিওগুলো তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে অবদান রাখছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য। আমি বিশ্বাস করি যে এই কাজগুলো যদি সমন্বয় করা যায় এবং সঠিক খাতে প্রভাবিত করা যায় এবং মূল অর্থনীতির ধারায় যদি সংযুক্ত করা যায় তাহলে নিশ্চয়ই সেটা আরো বেশি গতি লাভ করবে এবং আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাজ করবে। একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের যে মানুষ গুলো একেবারে গরিব খেটে খাওয়া মানুষগুলো যারা ব্যাংকে কোন এক্সেস পায়না তারা এখানে এসে এই সুযোগটা পাচ্ছে। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে পারছে এবং অর্থনীতিতেও তারা অবদান রাখছে। তিনি ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “ইএসডিও’র কর্মীদের প্রচেষ্টা এবং ড.মুহম্মদ শহীদ উজ জামানের সাহসী উদ্যোগের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠান আরও উচ্চতায় পৌঁছাবে। আমি ইএসডিও’র সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।” ইএসডিও’র এই তিন যুগের অর্জন শুধু ঠাকুরগাঁও নয়, সারা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর পক্ষে মুরাল উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন।
সাম্প্রতিক বার্তা
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)।
আজ সকালে (১৪ ডিসেম্বর ) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থিত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন ইএসডিও’র হেড অব এইচআর মো. আবুল মনসুর সরকার। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ইএসডিও’র বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মীবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মো. আবুল মনসুর সরকার বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। তাদের ত্যাগের আদর্শ ধারণ করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছি।”
ইএসডিও প্রতিবছর এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে থাকে।
গ্রাম দারিদ্র্যমুক্তকরণ প্রকল্পে গাভী, গরু ও ছাগী অনুদান বিতরণ
ইএসডিও’র উদ্যোগে মাষ্টার ক্রাফটসপার্সনদের রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
ইএসডিও মাইক্রোফিন্যান্স কর্মসূচির ১৯৮তম ফিল্ড অফিসার ব্যাচের ভিত্তি প্রশিক্ষণ সমাপ্ত
ঠাকুরগাঁওয়ের ইএসডিও ট্রেনিং অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার (ইটিআরসি)-এ ইএসডিও মাইক্রোফিন্যান্স কর্মসূচির ১৯৮তম ফিল্ড অফিসার ব্যাচের ভিত্তি প্রশিক্ষণ সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। গত ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ৭ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ২৪ জন নারী ও পুরুষ প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়, যা ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। সমাপনী বক্তব্য ও সনদ বিতরণ করেন ইএসডিও’র হেড অফ ট্রেনিং দেবাশিষ সরকার। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের অর্জিত জ্ঞানকে মাঠপর্যায়ে কাজে লাগিয়ে দেশ ও সংগঠনের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ইএসডিও মাইক্রোফিন্যান্স কার্যক্রমের আওতায় ফিল্ড অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। এটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ইএসডিও মাইক্রোফিন্যান্স কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রশিক্ষণার্থীদের পেশাগত জীবনে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পীরগঞ্জে রংপুর জেলা প্রশাসক “স্বপ্ন-২য়” প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন
ইএসডিও’র প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)’র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান।গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে তাঁকে এই পদে নির্বাচিত করা হয়।ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। তাঁর নেতৃত্বে ইএসডিও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।এই নির্বাচনের মাধ্যমে ড. শহীদ উজ জামান তাঁর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ইএসডিও’র শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল বাতেনকে পিএফ, গ্র্যাচুইটি ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান
ইএসডিও মাইক্রোফিন্যান্স কর্মসূচির আওতায় রংপুর জোনের পাগলা পীর শাখার শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল বাতেনকে পিএফ, গ্র্যাচুইটি ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের গোবিন্দনগরে অবস্থিত ইএসডিও’র প্রধান কার্যালয়ের সেমিনার হলে এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আব্দুল বাতেনের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইএসডিও’র হেড অব উইং যামিনী কুমার রায়, হেড অব ফাইন্যান্স মো. সৈয়দ আলী, হেড অব এইচআর মো. আবুল মনসুর সরকার, হেড অব প্রোগ্রাম – এআইএস আজিজুল হক প্রমুখ।
বক্তারা ইএসডিও’র কর্মীদের জন্য এ ধরনের কল্যাণমূলক উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং কর্মীদের উন্নয়ন ও কল্যাণে সংস্থার প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠান শেষে আব্দুল বাতেনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার হাতে চেক হস্তান্তর করা হয়।
ইএসডিও’র এ উদ্যোগ কর্মীদের কাজের প্রতি অনুপ্রেরণা বৃদ্ধি এবং সংস্থার প্রতি তাদের আস্থার ভিত্তি আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইএসডিও টিটিসিএইচডি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের সমাপ্তি ও সনদ বিতরণ
ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)’র অঙ্গ প্রতিষ্ঠান তিস্তা টেকনিক্যাল সেন্টার ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (টিটিসিএইচডি), লালমনিরহাট-এর বাস্তবায়নে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও পিকেএসএফ-এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় “পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল-ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (পিপিইপিপি-ইইউ)” প্রকল্পের আওতায় পেশাদার মোটর ড্রাইভিং, ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড হাউস ওয়্যারিং এবং ফ্যাশন গার্মেন্টস্ (৩টি ট্রেড)-এর ৯০ দিনের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়েছে।
গত বুধবার ইএসডিও’র লালমনিরহাট ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে এ উপলক্ষে সনদপত্র, নগদ অর্থ, উপকরণ বিতরণ এবং সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইএসডিও’র লালমনিরহাট জেলার জেলা ফোকাল ও জোনাল ম্যানেজার মোঃ বজলার রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ আব্দুর রাকিব জয়, সমন্বয়কারী (এমআইএস), মোঃ জিকরুল হক, প্রোগ্রাম অফিসার (লাইভলিহুড), এবং মোঃ মাহাবুবুর রহমান, কারিগরি কর্মকর্তা (পুষ্টি), যারা ইএসডিও- পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া টিটিসিএইচডি লালমনিরহাট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষকবৃন্দ এবং পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের প্রশিক্ষণার্থীরাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র প্রদান ছাড়াও তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে জীবিকার সুযোগ সৃষ্টির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ইএসডিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে আয়োজকরা জানান।