সাম্প্রতিক বার্তা
এই ইভেন্টে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য একটি নতুন তহবিল ব্যবস্থার ধারণা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “এটি সত্যিই ইএসডিও’র একটি চমৎকার উদ্যোগ। আমাদের শুধু দাতাদের উপর নির্ভর করা উচিত নয়, যা আজ পর্যন্ত তেমন আশাব্যঞ্জক নয়।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) এর নির্বাহী পরিচালক, মিস. শাহীন আনাম । তিনি বলেন, “ইএসডিও এমন একটি চমৎকার স্থানীয় তহবিল সমন্বয় প্রক্রিয়া নিয়ে এসেছে, যা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দেশের একটি উদাহরণ হতে পারে।”
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ মন্তব্য করেন, “এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা CSR তহবিলের আরও বাস্তবসম্মত ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারব।”
এছাড়া, লুক্রেটিয়া পুয়েন্তেস, ডিরেক্টর অফ নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ফান্ডস, স্টার্ট নেটওয়ার্ক, যুক্তরাজ্য, পুল্ড ফান্ড ব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করেন, “পুল্ড ফান্ড ব্যবস্থা বাস্তব সময়ে সহায়তা প্রদানের জন্য একটি কার্যকর মডেল, যা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। ইএসডিওকে ধন্যবাদ, যা স্থানীয়ভাবে উত্থাপিত এই তহবিলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক দাতাদের আস্থা আরও বাড়াবে।”
ইভেন্টটির সভাপতিত্ব করেন ইএসডিওর প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান। তিনি বলেন, “মানুষের জরুরি চাহিদা মেটাতে স্থানীয় তহবিলকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা স্থানীয়ীকরণকে এগিয়ে নেওয়ার উপযুক্ত সময়ে পৌঁছেছি।”
এই সাইড ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে জলবায়ু-প্ররোচিত দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় একটি পুল্ড ফান্ড প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা। ইএসডিও প্রস্তাব করছে, এমএফআইগুলোর কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) তহবিল থেকে এই পুল্ড ফান্ড গঠন করা হবে, যা বাংলাদেশ সরকারের মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (MRA)-এর নিয়ম মেনে পরিচালিত হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক দাতারা এই তহবিলে অবদান রাখতে পারবেন।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি। এ কারণে, এখানে এনজিও এবং এমএফআইয়ের শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে, যা এই পুল্ড ফান্ডের মাধ্যমে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে সহায়তা পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই আলোচনায় মূল বিষয় ছিল কিভাবে স্থানীয় তহবিল ব্যবস্থাপনাকে আরো কার্যকর করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য সহায়তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা ও জলবায়ু সহনশীলতা বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
এডুকো বাংলাদেশ ও ইএসডিও’র উদ্যোগে কারিগরি শিক্ষায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
নিজস্ব প্রতিবেদক: মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) ও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী স্মৃতি পাঠাগারের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় ইএসডিও’র প্রধান কার্যালয় জয়নাল আবেদীন মিলনায়তনে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে মাওলানা ভাসানীর জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্টজনেরা। আলোচনা শেষে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি মুহম্মদ জালাল উদ্দীন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মাওলানা ভাসানী ছিলেন শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের নেতা। তাঁর সারাজীবনের সংগ্রাম ছিল সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আশরাফুল উল আলম বলেন, “মাওলানা ভাসানীর চিন্তাধারা আজও আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক। তাঁর মতো নেতৃত্ব আমাদের সমাজে খুব প্রয়োজন।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুল হক চৌধুরী বলেন, “তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না; তিনি ছিলেন জনগণের হৃদয়ের নেতা। শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর সংগ্রাম আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়।”
দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম বলেন, “যুবসমাজকে মাওলানা ভাসানীর জীবন ও আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তাঁর মানবিকতা, নেতৃত্ব ও জনসেবার চেতনা আমাদের পথ দেখায়।”
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী স্মৃতি পাঠাগারের সহ-সভাপতি ও ইএসডিও’র হেড অব এইচআর আবুল মনসুর সরকার বলেন, “ইএসডিও প্রতিবছরই মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী গুরুত্বসহকারে পালন করে। তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখা এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর আদর্শ তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব।”
সাংবাদিক রেজওয়ানুল হক রেজু ও এস এম মোক্তদেরুজ্জমান রাসেলসহ অন্যান্য বক্তারাও মাওলানা ভাসানীর সংগ্রামী জীবন ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। শেষে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান
২০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত COP-29 জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে Keynote Speaker হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশের সুপরিচিত উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)’র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান।
ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, এবং সামাজিক ন্যায্যতার ক্ষেত্রে এক স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বে ইএসডিও বহু বছর ধরে বাংলাদেশে সামাজিক উন্নয়নের এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে। সংস্থাটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।
COP-29 সম্মেলনে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, পরিবেশ সুরক্ষা, এবং সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন। পাশাপাশি, তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর জন্য সম্ভাব্য সমাধান এবং উদ্যোগগুলো নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন।